ওজন কমাতে ইসুবগুলের ভুসির উপকারিতা এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

 


আসসালামু আলাইকুম

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ্ রহমতে সবাই ভালো আছেন।

বর্তমান সময়ে সবাই ই চায় নিজেদের ওজন কমিয়ে নিজেকে একটু সুন্দর, স্লিম, আকর্শনীয় ও সুদর্শন রাখতে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করাও। কারণ ওজন বেশি হলে বিভিন্ন রোগেও মানুষ আক্রান্ত হয় খুব বেশি।

আজ আমি আলোচনা করব ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি কিভাবে আপনাকে সাহায‌্য করবে এবং সেই সাথে ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি কিভাবে খাবেন তার সঠিক নিয়ম বলে দেব।

তাহলে চলুন বন্ধুরা মূল আলোচনায় যাই।

আমরা সবাই জানি ইসবগুলের ভুসি কোষ্টকাঠিন্য নিরাময় করে। তবে অনেকেই জানিনা এই ইসবগুলের ভুসি আপনার ওজন কমতেও সাহায‌্য করে। ওজন কমাতে ইসবগুলের ভুসি সহায়ক হওয়ার আরেকটি কারণ হল এতে ক্যালরি কম। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি দুই টেবিল-চামচ ভুসিতে থাকে মাত্র ৩২ ক্যালরি।

ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই জানি, রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে হয়। আসলেই কি তাই? চিনি দিয়ে খাবেন নাকি চিনি ছাড়া খাবেন?

আপাতত এখন থেকে আপনাকে এতকিছু ভাবতে হবেনা। ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার একটি সঠিক নিয়ম জেনে নিন।

আপনি ১- চা চামচ ২৫০ মিলি বা গ্লাস পানি দিয়ে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। পানির সঙ্গে মিশিয়ে সাথে সাথে খাবেন যাতে শরীরের ভেতরে গিয়ে এটি ফোলে। ভিজিয়ে রাখবেন না। কারণ অনেকক্ষন ভিজিয়ে রাখলে আপনি এর থেকে কোনো উপকার পাবেননা। ভুসি যখন আপনার পেটের ভিতরে গিয়ে ফুলে উঠবে তখনই আপনি এর উপকারিতা পাবেন। আর একটি কথা এতে আপনার চিনি মেশানোর কোনো দরকার নেই।

ওজন কমানো সহ ইসবগুলের ভুসির নানাবিধ উপকারিতাঃ

১। কুসুম গরম পানিতে ইসবগুলের ভুসিগুলিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার ঠিক আগে পান করতে হবে। আবার আপনি দিনের শুরুতে খালি পেটেও খেতে পারেন। সকালে পান করলে এটি ওজন কমাতে বেশি সাহায্য করবে।

২। ইসবগুলের ভুসি মলাশয় পরিষ্কার রাখে। এটি খাওয়ায় মলের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে আপনার কোষ্টকাঠিন্য দূর করা সহ আপনার পুরো অন্ত্র ও পাকস্থলির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৩। মলাশয় পরিষ্কার থাকলে হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়ে শরীরর চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আর শরীরের চর্বি কমে গেলে আপনার ওজন এমনিতেই কমে যাবে।

৪। প্রোবায়োটিক হিসেবেও এটির ব্যবহার হয়ে থাকে। চা চামচ ভুসি ১৫ মিলি লিটার টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবারের পর খাবেন। এরপর গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। ডায়রিয়াজনিত রোগে এটি প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

কিছু কথাঃ

-> মনে রাখবেন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার আগে পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ এই ভুসি পানিতে মেশার সঙ্গে সঙ্গেই ফুলে উঠবে এবং আঠাল তরলের মতো হবে। তাই বেশি পানি পান করে শরীরে ভুসি ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

-> সারা বছর ধরে একটানা খেলে পেট বুট বুট করতে পারে, এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে। তাই একটানা -১০ দিনের বেশি খাবেন না।

সবাইকে সময় নিয়ে পোস্টটি পড়ার জন‌্য ধন‌্যবাদ। স্বাস্থ‌্য সম্পর্কিত, রূপচর্চা এবং আরো নানা বিষয়ে জানতে আমার এই সাইটটি সর্বদা ভিজিট করুন এবং নতুন নতুন আপডেট পান।

তাহলে আজ এ পর্যন্ত।

সবাই ভালো, সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।

Post a Comment

0 Comments