বাংলাদেশ থেকে সঠিকভাবে একটি Verified Payeer Account তৈরি করার নিয়ম, ২০২২।।

 

Payeer wallet

আসসালামু আলাইকুম,

বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ্ র রহমতে সবাই ভালো আছেন।

বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা এখন একটি সাধারণ বিষয়। এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত কাজ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে টাকা বা ডলার পাঠাতে ও গ্রহণ করতে হবে। টাকা পাঠানো ও নেওয়ার জন্য অনেক ধরনের মাধ্যম বা ওয়ালেট রয়েছে যেমন- পেপ্যাল, কয়েনবেজ, ​​স্ক্রিল, পারফেক্ট মানি ইত্যাদি। 

এছাড়াও আরও একটি জনপ্রিয়  মাধ্যম বা ওয়ালেট হলো Payeer. আজকের আর্টিকেলে আমি Payeer ওয়ালেট নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। যার মাধ্যমে আপনারা কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজে অনলাইনে ডলার লেনদেন করতে পারবেন। 

তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশ থেকে কীভাবে Payeer একাউন্ট তৈরি করবেন এবং ভেরিফাই করবেন।

🔵 Payeer ওয়ালেট কিঃ

Payeer হল একটি ফ্রি ইলেকট্রনিক ওয়ালেট। এই ইলেকট্রনিক ওয়ালেটের সাহায্যে আপনি অতি দ্রুত এবং নিরাপদে টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এমনকি এটি থেকে এটিএম থেকেও টাকা তুলতে পারবেন।

Payeer প্ল্যাটফর্মটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী অধিকাংশ দেশে সহজে টাকা লেনদেনের জন্য পরিচিত এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও এর মাধ্যমে আপনারা ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জও করতে পারবেন। বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, বিটকয়েন ক্যাশ, ডগিকয়েন এবং আরও অনেক অনেক কয়েন এখানে ট্রেড করতে পারবেন।

পেয়ার প্রিপেইড ব্যবহারকারীদের, ব্যক্তিগত এটিএম বা ভার্চুয়াল প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য ফি 0%। এই ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টাকা ডিপোজিট এবং উইথড্র করতে পারবেন।

🔵 এবার আমারা জেনে নিব কিভাবে  Payeer একাউন্ট তৈরি করবেন এবং ভেরিফাই করবেনঃ

👉 প্রথমে Payeer একাউন্ট তৈরি করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন। আপনাকে নিচের ছবির মতো একটি পেইজে নিয়ে যাবে।

Payeer Wallet


👉 এরপর Create Account এ ক্লিক করুন। এখানে  Email address ঘরে আপনার Email address লিখে Create Account এ ক্লিক করুন।

Payeer Wallet


👉 এরপর আপনার মেইলে একটি কোড পাঠানো হবে। ছবিটি দেখে নিন-

Payeer Wallet


👉 এই কোডটি Code এর ঘরে বসিয়ে আবার Create Account এ ক্লিক করুন।

Payeer Wallet


👉 এবার যে পেইজটি ওপেন হবে সেখানে একটি Strong Password এবং Repeat Password দিয়ে দিন।
👉 Secret Code এর ঘরে আপনার ইচ্ছামত ৬ সংখ্যার একটি Secret Code লিখুন। Secret Code আপনার টাকা লেনদেনের জন্য প্রয়োজন হতে পারে, তাই এটি অবশ্যই মনে রাখবেন।

Payeer Wallet


👉 এর নিচের ঘরটিতে যে নাম্বারটি দেয়া আছে সেটা আপনার Payeer Wallet Address. এটি আপনার সবসময় প্রয়োজন হবে। আপনার একাউন্ট লগইন করতেও এটি লাগবে। কোনো সাইট থেকে পেমেন্ট নেয়ার জন্যও এই Address প্রয়োজন। অর্থ্যাৎ এটি হলো আপনার Payeer একাউন্টের Address.
👉 এবার Next এ ক্লিক করুন।  
👉 এখানে যে ঘরটি আসবে সেখানে আপনার First Name, Last Name এবং Country select করে Done এ ক্লিক করুন। 

Payeer Wallet

একাউন্ট করার কাজ শেষ।

এবার যে পেইজটি ওপেন হবে সেখানে আপনি আপনার Payeer Account এর ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি আপনার একাউন্টের সব ইনফরমেশন দেখতে পারবেন। এগুলো নিয়ে কোন একটা নিরাপদ জায়গায় সেভ করে রাখুন।

🔵 Payeer Account Create করার পরে Account কিভাবে ভেরিফাই করবেনঃ

👉 Account Create করার পরে Payeer ড্যাশবোর্ডে আপনার লগইন ইনফরমেশনের নিচে Not Verified লেখা দেখতে পাবেন। Not Verified লেখাটির উপর ক্লিক করুন। ছবিটি দেখে নিন-

Payeer Wallet


👉 পরের ভেরিফিকেশন পেজে Type of Account এর নিচের ঘরে Personal সিলেক্ট করুন। Name এর জায়গায় আপনার First Name এবং Last Name এর জায়গায় আপনার Last Name দিন। Day এর নিচের ঘরে আপনার জন্ম তারিখ দিন এবং Country এর ঘরে Bangladesh সিলেক্ট করে Go Next বাটনে ক্লিক করুন। ছবিটি দেখে নিন-

Payeer Wallet


(আপনার নাম, জন্ম তারিখ এগুলো অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী দিতে হবে।)

👉 এবারের পেইজে প্রথম ঘরে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন, Mobile Phone এর ঘরে আপনার ফোন নাম্বার দিয়ে Ok বাটনে ক্লিক করুন।

Payeer Wallet


👉 আপনার ফোনে একটি নাম্বার থেকে কনফার্মেশন কল আসবে। সেই নাম্বারের শেষ ৫ টি সংখ্যা বক্স করা ঘরে বসিয়ে Confirm বাটনে ক্লিক করুন।

👉 এরপর আপনি Phone Number Successfully Linked লেখা একটি মেসেজ দেখতে পাবেন। এরপর Go Next বাটনে ক্লিক করুন।

👉 পরের পেজে আপনাকে ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। এখানে ভেরিফাই করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্টের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করতে হবে।
👉 আপনি যেকোনো একটি অপশন বেছে নিতে পারেন। অপশন বেছে নেওয়ার পর ছবি ও ইনফরমেশন দিয়ে
এরপর Submit for Verification বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটি দেখে নিন-

Payeer Wallet


👉 Submit for Verification বাটনে ক্লিক করার পর (Your Documents are Being Reviewed) লেখা দেখতে পাবেন।
👉 আপনার দেয়া ডকুমেন্টের সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৩-৪ দিনের মধ্যে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। ভেরিফাই হলে আপনি ভেরিফিকেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।
তবে আপনারা চাইলে একাউন্ট ভেরিফাই না করেও Payeer ওয়ালেট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে নন ভেরিফায়েড একাউন্টে আপনি প্রত্যেকদিন সর্বোচ্চ ৯৯৯ ডলার পর্যন্ত ট্রানজেকশন করতে পারবেন।

Payeer Wallet


বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্ত।

আশা করি আমার আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন কিভাবে সঠিকভাবে একটা  Payeer Wallet তৈরি করবেন এবং Verify করবেন।
আর আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে বেশি বেশি শেয়ার করুন।

সবাই ভালো, সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।

Post a Comment

2 Comments

  1. খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

    ReplyDelete