আসসালামু আলাইকুম।
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল ও সুস্থ আছেন।
দুনিয়া জুড়ে কোটি কোটি মানুষ Google ব্যবহার করছেন তাই গুগল পূর্বে শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন থাকলেও, এখন আর গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়। এখন গুগল বড়
একটি প্রযুক্তি
কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
আর বর্তমানের এই প্রযুক্তির যুগে Google এর নাম সবার পরিচিত।
বন্ধুরা, আমরা আজ এই গুগল সম্পর্কে জানা-অজানা
কিছু তথ্য জানব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
Google এখন আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে। বর্তমানের এই ইন্টারনেট জগতের প্রায় ৯০ শতাংশ অংশ দখল করে আছে Google, আমরা যখন কোন অজানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই তখনি দেখ যায় আমরা গুগলকে স্মরণ করি, বর্তমানে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সার্চ ইঞ্জিন
হলো
Google. আমরা গুগল এতো বেশি ব্যাবহার করি যে
আমরা কেউই কল্পনা করতে পারিনা। আমাদের জন্য
গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিন নয়
এটি এমন একটি তথ্য
ভান্ডার যেখানে
আমরা যেকোন বিষয়ই সার্চ করে পেয়ে যাই। আসলেই Google অনেক বড়, আর এতোটাই বড় যে আমরা যেতটা ভাবি তারচেয়েও অনেক বড়।
আরো পরুন:
- মোবাইল এপসের বিরক্তিকর নোটিফিকেশনগুলো বন্ধ করুন এক মিনিটে।।
- workmatejob.com এ একাউন্ট করলেই $0.250 ডলার বোনাস। পেমেন্ট নিতে পারবেন বিকাশ, নগদ ও রকেট একাউন্টের মাধ্যমে।
🔵 Google
এর অর্থ:
বন্ধুরা, আমরা সবাই-ই Google ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা অনেকেই Google এর অর্থটাই জানিনা। গাণিতিক Googol থেকে Google নামের এই শব্দটি
নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ ১ এর পরে ১০০ টি শূণ্য দিলে যেটা হয়। সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন যে Google কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটের সীমাহীন তথ্য
ভান্ডার এর বিশালতাকে বোঝানোর জন্য Google নামটি ব্যবহার করেছেন। তাহলে গুগলের অর্থ বলতে আমরা গুগলের বিশালতাকে বুঝি।
🔵 Google
এর জনক:
গুগলের জনক বা আবিষ্কারক হল Larry
Page এবং Sergey Brin. তারা যখন Stanford University তে PHD করছিলেন, তখন তারা একটি রিসার্চ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছিলেন। সেই রিসার্চ প্রজেক্ট এর অন্তর্ভুক্ত হিসেবে Google এর উপর কাজ শুরু করেন।
🔵 Google এর প্রতিষ্ঠা দিবস:
১৯৬৬ সালে
Stanford University -র দু’জন পিএইচডি কোর্সের ছাত্র Larry Page এবং Sergey Brin গুগলের উপর কাজ শুরু করেন। ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই দুই ছাত্র একটি প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে গুগলের যাত্রা শুরু করান। সুতরাং ১৯৯৮ সালের ৪ ই সেপ্টেম্বর Google প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গুগলের ৬ টি জন্মদিন রয়েছে। কিন্তু Google কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ২৭ সেপ্টেম্বর Google এর জন্মদিন হিসেবে পালন করে।
🔵 Google এর হেডকোয়ার্টার:
Google এর হেডকোয়ার্টার বা Googleplex ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত।
🔵 Google
এর ভিজিটর:
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড সাইট হলো গুগল। ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কোনো লোক নেই যারা google-এ সার্চ করে নি।
🔵 Google এর আদর্শ:
Google এর আদর্শ হলো ”Don’t be evil” বা “কখনো অসৎ হইয়ো না”।
🔵 Google
একাউন্ট:
গুগলের সেবাগুলো ব্যবহার করার জন্য সবারই একটি গুগল একাউন্ট থাকা দরকার। আর এই জিমেইল সেবা ২০০৪ সালের পয়লা এপ্রিল চালু করা হয়।
🔵 Google Doodle:
কোনো স্মরণীয় স্মৃতি বা স্মারক যখন গুগলের হোমপেজে ইমেজ বা ছবি হিসেবে প্রদর্শন করা হয়, তাকে গুগল ডুডল বলে। ১৯৯৮ সালে গুগল প্রথম গুগল ডুডল ব্যবহার করে। বার্নিং ম্যান নামের একটি উৎসব উদযাপনের জন্য প্রথম গুগল ডুডল ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবসে গুগল ডুডল বিভিন্ন ছবি প্রদর্শন করে থাকে।
🔵 Google ইমেজ সার্চ:
গুগলের জনপ্রিয় একটি ফিচার হচ্ছে ইমেজ সার্চ। আমরা ইমেজ সার্চ করেও আমাদের অনেক তথ্য পেতে পারি। এটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল ২০০০ সালে।
🔵 ইউটিউব:
জনপ্রিয় ভিডিও ওয়েবসাইট ইউটিউব গুগলে অন্তর্ভুক্ত হয় ২০০৬ সালে। প্রায় দেড়শ কোটি ডলার ব্যয়ে google ইউটিউব কিনে। বর্তমানে ইউটিউব ব্যবহারকারীর
সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি এবং প্রতি এক মিনিটে ইউটিউবে প্রায় ৪০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড করা হয়।
আরো পরুন:
- Tiktok App Install করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ইনকাম করুন। সাথে সাথেই পেমেন্ট পাবেন ১০০% ইনশাআল্লাহ্।
- Snack video app থেকে প্রথম দিনেই ৩০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২২।
👉 সর্বপ্রথম গুগল সার্চ ইঞ্জিনের নাম ছিলো backrub (ব্যাকরাব), এই নামের কারন হলো সার্চ ইঞ্জিনে যেকোন সাইট এর ব্যাক লিংক থেকে ডাটা সংগ্রহ করেই সার্চ রেজাল্ট দেখাতো , পরবর্তিতে এই সার্চ ইঞ্জিনের নাম পরিবর্তন করে Google রাখা হয়। ১৯৯৭ সালে তারা .com ডোমেইন কিনে নেয়।
👉 ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিনে সবাইকে অবাক করে গুগল সর্বপ্রথম জিমেইল চালু করে। তখন এই ঘটনাটা কেউই
বিশ্বাস করতে পারেনি। সবাই ভেবেছিল এটা এপ্রিল ফুল।
👉 Google এ যত সার্চ
হয়
তার
১৫% ই
হলো
নতুন
সার্চ।
অর্থাৎ
এমন
টপিক
যা
এর
আগে
কখনো
সার্চ করা হয়নি।
👉 Google বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান
তথা google account, google maps, google crome, google drive, youtube, google adsense ইত্যাদির মালিক।
এছাড়াও google য় প্রতি
সপ্তাহে নতুন
একটি
করে
কোম্পানির মালিক
হচ্ছে।
👉 একটি খুব
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- অ্যাপোলো-১১ তে করে
মানুষ
চাঁদে
পাঠাতে
যে
পরিমাণ
computing ক্ষমতা ব্যবহার করা
হয়েছিল, Google মাত্র একটি
সার্চ
করার
জন্য
সেই
পরিমাণ computing ক্ষমতা বর্তমানে ব্যবহার করা হয়।
👉 আপনাদের
গুগল সম্পর্কে একটি ম্যাজিকের কথা বলি - আপনি
যদি
“Askew” শব্দটি
ইংরেজিতে সার্চ
করেন,
তাহলে
দেখবেন আপনার পুরো
ওয়েবপেজটি একদিকে
কাত
হয়ে
যাবে।
একবার হলেও শব্দটি সার্চ
দিয়ে
দেখুন।
👉 গুগল হেডকোয়ার্টার এর
সামনে
ডাইনোসর এর
একটি
বিশাল
মূর্তি
রয়েছে।
যার
উপর
অসংখ্য
প্লাস্টিকের তৈরি
গোলাপি Flamingo রয়েছে।
এর
কারণ
হচ্ছে,
এটি
google কর্মচারীদের জন্য
সতর্কবার্তা। যেন
তারা
গুগলকে
বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
👉 গুগল তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার জন্য সার্টিফিকেটকে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়না। তারা বাস্তব অভিজ্ঞতাকে বা দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যার কারণে দেখা যায়
গুগলে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ কর্মচারী কখনো কলেজেই যায়নি। গুগল ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা তাদের কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাদ্য পরিবেশন করে।
👉 গুগলের হেডকোয়ার্টার সবুজে
ঘেরা।
আর তারা এই ঘাস ছাগল
ভাড়া
করে তাদের দিয়ে খাইয়ে পরিষ্কার রাখে।
🔵 গুগলের
সার্ভিসগুলো:
১. Gmail:
জিমেইল হলো গুগলের প্রথম সফল সার্ভিস যা 1st April 2004 সালে চালু করা হয়। র্বতমানে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ বিলিয়ন।
২. Google Adsense:
গুগল এডসেন্স নামটি অবশ্যই সবাই শুনেছেন। গুগল থেকে আয়কৃত টাকা Google Adsense এর মাধ্যমেই
হাতে পাওয়া যায়।
৩. Google play store:
এর সম্পর্কে প্রতিটি এন্ডোয়েড ইউজার ভালো করে জানেন। তাদের প্রয়োজনীয় সব apps ওইখানে পাওয়া যায়। যার ফলে এন্ডোয়েড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
৪..Youtube:
ইউটিউব এর সম্পর্কে তো আর কিছুই বলার নেই। উপরে এর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
৫. Google Photos:
এটি বর্তমানে সকল android mobile এ বিল্ট ইন ইনস্টল করা থাকে। যার সাহায্যে ছবি গুলো অনলাইনে স্টোর করা যায়।
৬. Blogger.com:
এখানে আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েব সাইট খুলতে পারবেন এবং ব্লগ তৈরি করে ইনকাম করতে
পারবেন।
৭. Google Map:
এটি ব্যবহারকারীদের সব চেয়ে প্রয়োজনীয় একটি সার্ভিস । যা মানুষের যোগা যোগ কে আরো সহজ করে দিয়েছে।
৮. Google Drive:
ব্যবহারকারীর
ডাটা সেভ এবং সুরক্ষার জন্য এটি সব থেকে ভালো একটি সার্ভিস, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা
তাদের ডাটা সেভ করতে পারবে। গুগল ড্রাইভ এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০০ মিলিয়ন ।
৯. Google Translator:
কোন কিছু কে নিজের ভাষায় বা অনান্য ভাষায় অনুবাদ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
বন্ধুরা আজ আর নয়। আশা করি
আপনাদের আমার
এই গুগল সম্পর্কে লেখাটি পড়ে ভালো
লাগবে।
সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্
হাফেজ।
এই লেখাটাও আপনার জন্য:
0 Comments