করলা ভাজি তিতা !!! জেনে নিন নতুন নিনজা টেকনিক আর তিতা হবেনা। করলা ভাজি।।

করলা


আসসালামু আলাইকুম। 

বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। 

তো বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে অসাধারণ একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।

করলা ভাজি। হ্যাঁ আপনারা ঠিকই শুনেছেন। করলা ভাজির নাম শুনলেই সবারই মনের ভিতর কেমন জানি একটা অনুভূতি হয়। কারণ করলা সবজিটি খুবই তিতা। বাচ্চারা তো এটি একেবারেই খেতে চায় না।

তবে করলা সবজি হিসেবে খুবই অসাধারণ। আর এই সবজিটি কিভাবে আরো অসাধারণ এবং একেবারেই তিতা ছাড়া রান্না করবেন তার নিনজা টেকনিক আজ আপনাদের শিখিয়ে দিব। যেটা সবাই খুব মজা করে ও চেটেপুটে খাবে।

বন্ধুরা, মনে রাখবেন – করলা ভাজি গরম গরম থাকতে এবং গরম ভাতের সাথে খাবেন। অনেক ভাল ও মজাদার লাগবে।

তো চলুন বন্ধুরা, কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাই।

🔵🔵 তিতা ছাড়া করলা ভাজি রেসিপিঃ 

🟡 উপকরণঃ

করলা – ১টা বড় সাইজের

আলু – ২টা মাঝারী সাইজের

পেয়াজ কুচি – ১ টি ( মাঝারি সাইজের)

কাঁচামরিচ কুচি - ৩ - ৪ টি

চিংড়ি মাছ - ১০ - ১৫ টি ( মাঝারি সাইজের)

হলুদ গুঁড়া - সামান্য

লবণ – স্বাদমতো

তেল – ১/৩ কাপ

🟡 প্রস্তুত প্রণালীঃ 

আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে কুঁচি করে কেটে নিন। এবার করলা পাতলা পাতলা কুঁচি করে কেটে নিন, আর করলার ভিতরের বিঁচিগুলো ফেলে দিন। কাটার পর এই করলা কুঁচি পানিতে ভিজিয়ে ডুবিয়ে রাখুন, এতো কোনো লবণ মাখানোর দরকার নেই। ১০-১৫ মিনিট পর করলা ভালো করে কচলিয়ে নিন, এতে এর ভিতরের তেতো ভাবটা চলে যাবে। এবার এই পানিটা ভালো করে ঝরে নিয়ে আবার ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে একটু গরম করুন। তেল হালকা গরম হলে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামী রঙ হলে তাতে আলু ও চিংড়ি দিয়ে দিন। সামান্য একটু পানি দিন যাতে লেগে না যায়। এবার পানিতে ভিজিয়ে রাখা করলা আবার একটু কচলিয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে কড়াইয়ে দিয়ে দিন।  এবার এতে সামান্য হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে আবার সামান্য পানি দিয়ে ভালভাবে কয়েকবার নেড়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি করে রাখুন। কিছুক্ষন পর আবার নেড়ে দিন যাতে লেগে না যায়। একটু সেদ্ধ হয়ে এলে ঢাকনা তুলে নিন। এভাবে একটু পরপর হালকা করে নেড়ে দিন। একেবারে ভাজাভাজা এবং ঝুরাঝুরা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার তিতা ছাড়া মজাদার করলা আলু ভাজি বা করলা চিংড়ি এর মজাদার রেসিপি। 

আর এই গরম গরম করলা ভাজি গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। দেখবেন বাচ্চা - বয়স্ক সবাই এই তিতা ছাড়া করলা ভাজি কেমন মজা করে এবং চেটেপুটে খায়।

তো বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্ত। 

আগামীতে আবার কোনো সুন্দর ও অসাধারণ রেসিপি নিয়ে হাজির হব। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো, সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন। আর আমার Juifull Bangla সাইটটি সর্বদা ভিজিট করুন আর নতুন নতুন আপডেট পান।

আল্লাহ হাফেজ। 

Post a Comment

0 Comments