Airdrop কি? Airdrop এ কাজ করে মাসে ৫০০$ ইনকাম করার উপায় ২০২২।।।

Airdrop


আসসালামু আলাইকুম। 

বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। 

বন্ধুরা, আজকে আমার এই পোস্টটি সাজিয়েছি Airdrop সম্পর্কে। এখানে আমরা জানব Airdrop কি? কিভাবে Airdrop এ কাজ করবেন, Airdrop এ কাজ করতে কি কি দরকার এবং Airdrop থেকে কিভাবে আপনারা মাসে ৫০০$ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন সেই বিষয়ের উপর।

বন্ধুরা, তার আগে আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে একটু ধারণা নেই। তাহলে যাদের ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ধারণা নেই তাদের একটু বুঝতে সুবিধা হবে।

বর্তমান টেকনোলজির এই যুগে ক্রিপ্টোকারেন্সি নামক এক নতুন কারেন্সি চালু করা হয়েছে। আর এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নামটি কমবেশি সবারই কাছে পরিচিত। ক্রিপ্টোকারেন্সি হল পৃথিবীর ভবিষ্যত। 

⏭️ সংক্ষেপে জেনে নিন ক্রিপ্টোকারেন্সি কি?

অনলাইন দুনিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন কারেন্সিই ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিত। এই কারেন্সির মাধ্যমে অনলাইন জগতে লেনদেন করা হয়।

ক্রিপটোকারেন্সির নামগুলো, যেমনঃ বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন ইত্যাদি। আর অনলাইন আয় করার কারেন্সি বা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন করার কারেন্সি, যেমনঃ বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, ডগিকয়েন ইত্যাদি কেই ক্রিপটোকারেন্সি বলে।

এইসব ক্রিপটোকারেন্সি দিয়ে যারা অনলাইন দুনিয়ায় কাজ করে তারা পেমেন্ট নেয়ার জন্য বিভিন্ন সাইট থেকে এসব পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যাবহার করে থাকে।

এবার চলুন মূল আলোচনায় যাই।

প্রথমে আমরা জেনে নিবঃ

🔵 Airdrop কি?

Airdrop হচ্ছে "ফ্রি ক্রিপটো টোকেন"। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্রিপটোকারেন্সি লঞ্চ হচ্ছে অনলাইনে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের টোকেন বা কয়েন মার্কেটে চালু করার সময় যে টোকেন ফ্রিতে দিয়ে থাকে তার বিনিময়ে আমাদের দেয়া কিছু টাস্ক কমপ্লিট করতে হয়, এমন প্রক্রিয়াকে Airdrop বলে। এসব প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই সব প্রোগ্রাম চালু করে থাকে। যারা তাদের শর্ত অনুযায়ী এসব প্রোগ্রামে জয়েন করে তাদের ফ্রিতে কিছু টোকেন বা কয়েন দেয়া হয়। উক্ত কয়েন বিভিন্ন Exchange সাইট থেকে Dollar বা BTC তে Convert করে আপনি আপনার Binance Account, Trust Wallet, Metamask Wallet, Coinbase Account বা Bank Acount এ ট্রান্সফার করতে পারবেন। আর এসব exchange সাইট থেকে আপনার টাকা বিকাশ বা রকেটে নিতে পারবেন।

এয়ারড্রপ থেকে আয় করার জন্য আপনাকে বিশেষ কিছু করতে হবে না। এয়ারড্রপ থেকে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে Airdrop বিষয়ের উপর পোস্ট করা হয় এমন সব টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন হতে হবে, 💞💞👉তাছাড়া আপনারা চাইলে আমার এই সাইট থেকেই Airdrop এ জয়েন হতে পারবেন, কারণ আমার এই সাইটে প্রতিদিন নতুন নতুন Airdrop সংক্রান্ত পোস্ট করা হয়ে থাকে👈💞💞 এবং নতুন নতুন সব এয়ারড্রপ এ জয়েন করে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। এরপরে সেই টোকেন যখন বিভিন্ন Crypto Exchanger এ লিস্টেড হবে তখন আপনি সেই টোকেন সেল করে টাকা আয় করতে পারবেন।

এয়ারড্রপ হচ্ছে বর্তমান সময়ের কোনো প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এই Airdrop এ অসংখ্য মানুষ কাজ করে প্রতিমাসে ৫০০$ ডলারেরও বেশি ইনকাম করে নিচ্ছে। যেখানে প্রতি ১ ডলারের মূল্য ৯০-১০০ টাকা। আবার কখনো কখনো তার বেশি বা কমও হয়।

🔵 Airdrop থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন?

Airdrop থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্যের সাথে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। যদি আপনার এখানে কাজ করার যথেষ্ট ধৈর্য থাকে, তাহলে আপনি চাইলেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে Airdrop এ জয়েন করে প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা সময় দিয়ে মাসে ২০০$-৫০০$ ইনকাম করতে পারবেন ইনশা-আল্লাহ।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছেন, যারা শুধুমাত্র Airdrop কাজ করে মাসে ৩০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। তবে এক্ষেত্রে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভালো ভালো Airdrop গুলোতে জয়েন করতে হবে। 

বন্ধুরা, Airdrop এ কাজ করতে তেমন কোন কষ্ট করতে হয় না, শুধু মাত্র আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। তবে কাজের ধরন Airdrop এর প্রজেক্ট অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে সব ধরনের Airdrop এ জয়েন করার পদ্ধতি প্রায় একই রকম।

🔵 Airdrop কাজ করবেন যেভাবেঃ

ক্রিপটোকারেন্সি Airdrop এ জয়েন করতে ও কাজ করতে হলে আমাদের বিভিন্ন রকম সোশাল মিডিয়ায়  একাউন্ট থাকতে হবে এবং বিভিন্ন ক্রিপটো ওয়ালেট এ একাউন্ট (পেমেন্ট নেয়ার জন্য) অবশ্যই থাকা লাগবে।

Airdrop এ কাজ করতে হলে নিচের একাউন্টগুলো আপনার অবশ্যই থাকা লাগবে-

Email Account,

Telegram Account,

Facebook Account,

Twitter Account,

Instagram Account,

Reddit Account,

Linkdin Account,

Medium Account,

Discord Account,

Youtube Account,

BSC Wallet (Trust Wallet/Metamask Wallet).

উপরের সবগুলো একাউন্ট খুলে Username Set করতে হবে। এসব একাউন্ট খোলা খুবই সহজ, একাউন্ট খোলার পর Setting এ গিয়ে Username এর অপশন পাবেন, সব Username গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন বা নোট করে রাখবেন। আর সব একাউন্টের Username এক দেওয়াই ভালো, যেমন- (nahidsultana123) এটা আমার একাউন্টগুলোর Username, আপনারা আপনাদের মতো করে একটি Username সেট করে দিবেন।

🔵 Airdrop এর কাজের নিয়মঃ

Airdrop এ কাজ করার নিয়মগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:-

🔜 Telegram চ্যানেল-এ জয়েন করা,

🔜 Telegram গ্রুপে জয়েন করা,

🔜 Twitter ফলো করা ও পিন পোস্টে লাইক করা, 

🔜 Twitter ফলো করে পিন পোস্টে কমেন্টে ট্যাগ এবং রিটুইট করা,  

🔜 Discord এ জয়েন করা এবং ভেরিফাই করা,

🔜 Instagram ফলো করা, 

🔜 Medium ফলো করা,

🔜 Reddit ফলো করা,

🔜 Linkdin ফলো করা,

🔜 Facebook ফলো করা ও মাঝে মাঝে লাইক করা,

🔜 YouTube চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা ও চ্যানেলের লিংক দেয়া, ইত্যাদি।  

Airdrop অনুযায়ী তারা বলে দিয়ে থাকে যে, এই টাস্কগুলো আপনাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আপনি যখন Airdrop এর কোনো অফারে জয়েন করবেন সেই সময় কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনাকে ফলো করতে হবে এবং লাইক, কমেন্ট করতে হবে তা সুন্দরভাবে ইংরেজিতে উল্লেখ থাকবে। আপনাকে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

এসব কাজ করলে তারা আপনাকে ফ্রি-টোকেন দেবে। এরপর আপনার আর কোনো কাজ নেই শুধু কয়েন লিস্টিং হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কয়েন মার্কেটে লিস্ট হলেই আপনি সেই ফ্রি-টোকেন আপনার ক্রিপ্টো-ওয়ালেট এ নিতে পারবেন। 

আপনি Airdrop জয়েন হওয়ার পর থেকে এটা মূলত ২০ দিন থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে আপনার ওয়ালেটে টোকেন বা ডলার আসতে।

🔵 Airdrop এ কাজ করতে আপনার যেসব জিনিসের প্রয়োজন হবেঃ

Airdrop এ কাজ করার জন্য আপনার তেমন বেশি কিছু জিনিসের প্রয়োজন নেই। আপনার হাতে থাকা অ্যান্ড্রোয়েড বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি Airdrop এ কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার প্রয়োজন হবেঃ

⏭️ আপনার নিজের একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট দরকার হবে কারণ বেশিরভাগ Airdrop ই টেলিগ্রাম এর মাধ্যমে শেয়ার করা হয়ে থাকে। আপনার যদি টেলিগ্রাম একাউন্ট না থাকে তাহলে এখানে ক্লিক করে জেনে নিন কিভাবে আপনি একটি টেলিগ্রাম একাউন্ট খুলবেন। 

⏭️ Trust Wallet/Metamask Wallet এগুলোর BSC Wallet/Polygon Wallet Address পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য দরকার, কারণ বেশিরভাগ Airdrop এর পেমেন্ট এই ওয়ালেট এর মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে।

আপনাকে প্রতিদিনই কমপক্ষে ১০-১৫ টা ক্রিপ্টো-কারেন্সি কম্পানির Airdrop জয়েন করতে হবে।  

তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে, সকল ক্রিপ্টো-কারেন্সি কম্পানি পেমেন্ট করে না কারন এদের মধ্যে কিছু ফেইক কম্পানি রয়েছে। তাই সকল Airdrop এই আমাদের জয়েন হয়ে ফলো করার কাজ করে রাখতে হবে।

এভাবে ধৈর্য ধরে কোনো প্রকার টাকার চিন্তা না করেই একটানা দুই থেকে তিন মাস কাজ করলেই পরবর্তী মাসগুলোতে মোটামুটি ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন হবেন ইনশা-আল্লাহ। 

আশা করি আজকে আমি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে Airdrop কি, কিভাবে Airdrop এ কাজ করতে হয়, Airdrop এ কাজ করার জন্য কি কি প্রয়োজন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি। আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে বেশি বেশি শেয়ার করুন। আর আমার Juifull Bangla  সাইটটি সর্বদা ভিজিট করুন। 

আজ এ পর্যন্ত। সবাই ভালো, সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন। 

আল্লাহ হাফেজ।

Post a Comment

0 Comments